মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেওয়ার পদ্ধতি কি?

প্রশ্ন: মৃতকে গোসল দেওয়ার পদ্ধতি কি? এতদ্বিষয়ে এবং মৃতকে গোসল দেওয়ার ব্যাপারে দ্বীনি ছাত্রবৃন্দের জন্য আপনার নছীহত কি?
উত্তরঃ মৃতকে গোসল দেওয়ার পদ্ধতিঃ মৃত ব্যক্তিকে এমন এক ঘেরা জায়গায় নিতে হবে, যেখানে কেউ তাকে দেখতে পাবে না। যারা তাকে গোসলকরানোর কাজে সরাসরি অংশগ্রহণ করবে এবং যারা তাদেরকে সহযোগিতা করবে, তারা ছাড়া আর কেউ তার কাছে যাবে না। অতঃপর যে গোসল করাচ্ছে সেসহ অন্য কেউ যাতে তার লজ্জাস্থান দেখতে না পায়, সেজন্য তার লজ্জাস্থানে একটি নেকড়া দিয়ে দেহের কাপড়-চোপড় খুলে ফেলতে হবে। তারপর তাকেপরিষ্কার-পরিছন্ন করতে হবে। অতঃপর ছালাতের অযূর ন্যায় তাকে অযূ করাবে। তবে বিদ্বানগণ বলেন, তার নাক-মুখে পানি প্রবেশ করাবে না। বরং একটানেকড়া ভিজিয়ে তা দিয়ে মৃতের দাঁত সমূহ এবং নাকের ভেতরে ঘষে পরিষ্কার করে দিবে। এরপর মৃতের মাথা ধুয়ে দিবে। অতঃপর তার সমস্ত শরীর ধুয়েদিবে। তবে শরীর ধোয়ার সময় মৃত ব্যক্তির ডান অঙ্গ থেকে শুরু করবে। পানিতে বরই পাতা দেওয়া উচিৎ। কেননা তা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় সাহায্য করে।বরই পাতার ফেনা দিয়ে মৃতের মাথা, দাড়ি ধুয়ে দিবে। অনুরূপভাবে শেষ বার ধোয়ার সময় পানিতে একটু কর্পূর মিশানো উচিৎ। কেননা রাসূল সাল্লাল্লাহু‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মেয়েকে গোসলদানকারী মহিলাগণকে বলেছিলেন, ‘শেষবার ধোয়ার সময় পানিতে একটু কর্পূর মিশাবে’।[ইমাম মুসলিম উম্মে আত্বিইয়া (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা) হতে র্বণনা করেন, ‘জানাযা’ অধ্যায়, হা/৯৩৯]।
অতঃপর মৃতের গায়েরপানি মুছে তাকে কাফনের কাপড় পরাবে।
মৃতকে গোসল দেওয়া ফরযে কেফায়াহ। কেউ তা সম্পন্ন করলে অন্যদের উপর থেকে ফরযিয়াত উঠে যাবে। আমার মতে, যারা মৃত ব্যক্তিকে শর‘ঈপদ্ধতিতে গোসল দিতে জানে, তারাই মৃতদের গোসলের দায়িত্ব নিবে। দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের সরাসরি গোসল করানোর কাজে অংশ নেওয়া যরূরী নয়।কেননা হতে পারে যে, শিক্ষার্থীরা এর চেয়ে আরো বেশী যরূরী কাজে ব্যস্ত রয়েছে। সেজন্য এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ গোসল দিলেই যথেষ্ট হবে। তবেদ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের মৃতকে কাফন-দাফন করার পদ্ধতি ভালভাবে জেনে রাখা উচিৎ।
No comments