ভার্চুয়াল গণকের কবলে মুসলিম উম্মাহ্!!!

ভার্চুয়াল গণকের কবলে মুসলিম উম্মাহ্!!!

যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য। দরূদ এবং সালাম বর্ষিত হোক আমাদের শেষ নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর উপর।

মহান আল্লাহ আহলুস্‌ সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতকে তাক্বদীরের সঠিক উপলব্ধি দান করেছেন। কারণ তারা সরাসরি পবিত্র কুরআন, সহীহ হাদীছ এবং সালাফে ছালেহীনের বক্তব্য অনুযায়ী তাক্বদীর বুঝার চেষ্টা করেছেন। মূলতঃ তাক্বদীরসহ শরী‘আতের  যেকোনো বিষয় বুঝার ক্ষেত্রে এই পথেই মুক্তি নিহিত রয়েছে। কিন্তু বর্তমান বিশ্বের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই তাক্বদীরের প্রতি মুসলিমদের বিশ্বাস যেন তলানিতে নেমে গেছে! এর অন্যতম প্রধান কারন হচ্ছে ইহুদী-খ্রিস্টান তথা বিজাতীয়দের ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের চলমান ধারা ও দ্বীন সম্পর্কে অজ্ঞতা । ইসলামের শুরু হতে এ ষড়যন্ত্র অদ্যাবধি বিদ্যমাণ রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় ইসলামের শত্রুরা নতুন নতুন পদ্ধতিতে মুসলিমদের ঈমান আমল ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করেই চলেছে। আর তাদের এসকল ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দিচ্ছে এই মুসলিম উম্মাহর অনেকেই জেনে বা না জেনে!

বর্তমান এই ইন্টারনেটের যুগে মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যপক উন্নতি সাধিত হয়েছে সত্য। প্রযুক্তির কল্যাণে দুনিয়াবী কর্মে মানুষ এগিয়ে যাচ্ছে বেশ গতিতেই, কিন্তু পিছিয়ে পরছে পরকালীণ মুক্তির আমল সঞ্চয় করতে। সত্যমিথ্যার পার্থক্য, দ্বীন সম্পর্কে অজ্ঞতার দরুন ষড়যন্ত্রকারীর ষড়যন্ত্র বুঝতে না পেরে নিজের ঈমানকেই করে দিচ্ছে দুর্বল। প্রযুক্তির এই যুগে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা অগণিত। এর ব্যবহারের যেমন ভাল দিক রয়েছে ঠিক তেমনি রয়েছে খারাপ দিকও। মুসলিমদের ঈমানে দুর্বলতা সৃষ্টির এক অনন্য হাতিয়ারও বটে এই ফেসবুক। কারণ- কিছুদিন যাবত আমার চক্ষুগত হয়েছে যে বিষয়টা তা হচ্ছে বিভিন্ন গেমস, এপ্স বা টুলস-এর নাম করে ব্যবহারকারীর ভবিষ্যৎ বলে দেয়া এবং তা ফেসবুকের ওয়ালে প্রচারের মাধ্যমে অন্যকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে পুণরায়  আরও একজনকে অংশগ্রহন করানো। বিষয়টি প্রায় এম,এল,এম-এর মতোই! একজন যদি কর্মটি সম্পাদন করে তাহলে তার ফ্রেন্ডলিস্টের বাকিদের কাছেও এটি পোস্ট হিসেবে চলে যায় ও সেসকল ফ্রেন্ডগণ ‘Try it’ অপশনে ক্লিক করেই তাতে সহজেই অংশগ্রহন করে ফেলেন। এই app ব্যবহার করলে দেখা যায় সেখানে দেখাচ্ছে-
১) ২০১৯ কিংবা কয়েক বছর পরে আপনি কি কি করবেন?!
২) সুন্দরী কাউকে বিবাহ করবেন!
৩) নতুন বাড়ি-গাড়ি করবেন!
৪) অনেক টাকা পাবেন!
৫) লটারি জিতবেন!
৬) চাকরি পাবেন!
৭) ব্যবসায় বেশি লাভ করবেন!
৮) শত্রুর হাত হতে রেহাই পাবেন! ইত্যাদি ইত্যাদি!
মোদ্দাকথা, দুনিয়াবি প্রায় সকল ভালোলাগার ভোগ্যবস্তু পাওয়ার আশা জাগিয়ে দিয়ে তাক্বদীরের প্রতি মুসলিম উম্মাহর যে ঈমান রয়েছে তা ধ্বংস করার ডিজিটাল ষড়যন্ত্র ইসেবে ভার্চুয়াল গণকের বেশে  তা আমাদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

সম্মানিত দ্বীনিভাই! উপরোক্ত সকল বিষয়গুলোই কিন্তু ভবিষ্যৎ তথা গায়েবের অন্তর্ভুক্ত। যা কেবল আল্লাহ সুবহানাহু তা'আলা ভাল জানেন। কোন গণক বা জ্যোতির্বিদরা বান্দার ভবিষ্যৎ বলতে পারেনা।  অথচ ভবিষ্যতের এমন ভাল ভাল বিষয় পাওয়া হবে দেখে অন্তরে এক ভালোলাগার অনুভূতি সৃষ্টি হয়। বিশ্বাস করুন! আপনার এ ভালোলাগার অনুভূতিই আপনার গোমরাহি। শয়তান আপনার এ ভালোলাগাটাকেই কাজে লাগিয়ে আপনাকে তো পথভ্রষ্ট করছেই সাথে আরো দুটো কাজ সে আপনাকে দিয়ে ফ্রি করিয়ে নিচ্ছে! ১) আপনার অপর বন্ধুকে উক্ত কাজে উৎসাহিত করে অংশগ্রহন করাচ্ছে, ২) ইসলামের শত্রুদের ষড়যন্ত্রে আপনাকে অংশীদার বানাচ্ছে!  অথচ ইসলাম আমাদের তাক্বদীরে বিশ্বাস স্থাপন শিক্ষা দেয়। আর নিষেধ করে গণকের নিকট গিয়ে ভবিষ্যৎ জানার জন্য গমন করাকে। ভেবে দেখুন তো! অন্তরের নিছক চাহিদাকৃত বস্তুর প্রতি আকর্ষণের খেয়ালবশতঃ প্রকৃতপক্ষে কি আমরা গণকের ভবিষ্যৎ গণনার দিকে ধাবিত হচ্ছিনা? শরিয়াত যে বিষয় হারাম করেছে সে হারামকেই হালাল মেনে আল্লাহর বিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করছি না?

সুতরাং, তাক্বদীরের প্রতি ঈমান ও গণকের নিকট গমন সম্পর্কে শরিয়তের বিধান কি সে বিষয়ে কিঞ্চিৎ ধারণা দেয়ার প্রয়াস করছি এই ভেবে যে, আমরা যারা ইসলামের শত্রুদের তৈরিকৃত ভার্চুয়াল গণকের ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেছি তারা যেন তাওবাহ করে ফিরে আসতে পারি এবং যারা এখনো ফাঁদে পা দেয়নি তারা যেন সতর্ক হতে পারে। আল্লাহই সাহায্যস্থল।  

★ তাক্বদীরের প্রতি ঈমানঃ

ঈমানের ছয়টি রুকনের মধ্যে তাক্বদীর অন্যতম। ঈমানের এ গুরুত্বপূর্ণ রুকনটির প্রতি বিশ্বাস স্থাপন না করা পর্যন্ত কেউ মুমিন হতে পারবে না। মহান আল্লাহ বলেন, إِنَّا كُلَّ شَيْءٍ خَلَقْنَاهُ بِقَدَرٍ ‘নিশ্চয় প্রত্যেকটি জিনিসকে আমরা ‘ক্বাদর’ তথা পরিমিতরূপে সৃষ্টি করেছি (আল-ক্বামার ৪৯)। ইবনু কাছীর রাহিমাহুল্লাহ বলেন, আহলে সুন্নাতের আলেমগণ এই আয়াত দ্বারা তাক্বদীর সাব্যস্ত হওয়ার দলীল গ্রহণ করেন। (তাফসীর ইবনে কাছীর, (রিয়াদ: দারু-ত্বায়বাহ, দ্বিতীয় প্রকাশ: ১৯৯৯ইং), ৭/৪৮২।)

অন্য আয়াতে এসেছে, وَكَانَ أَمْرُ اللَّهِ قَدَرًا مَّقْدُورًا ‘আর আল্লাহ্‌র বিধান সুনির্দিষ্ট, অবধারিত’ (আল-আহযাব ৩৮)। এ আয়াতের ব্যাখ্যায় হাফেয ইবনু কাছীর রাহিমাহুল্লাহ বলেন, অর্থাৎ আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত বিষয় অবশ্যই ঘটবে, এর সামান্যতম কোন ব্যত্যয় ঘটবে না। তিনি যা চান, তা ঘটে। আর যা তিনি চান না, তা ঘটে না।(প্রাগুক্ত, ৬/৪২৭।)

হাদীছে জিবরীলে ঈমানের পরিচয় দিতে গিয়ে বলা হয়েছে, أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَتُؤْمِنَ  بِالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ ‘আল্লাহ্‌র প্রতি, তাঁর ফেরেশতামণ্ডলী, আসমানী কিতাবসমূহ, রাসূলগণ, শেষ দিবস এবং তাক্বদীরের ভাল-মন্দের প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের নাম ঈমান’।(সহীহ মুসলিম, হা/৮, ‘ঈমান’ অধ্যায়, ‘ঈমান, ইসলাম ও ইহসানের বর্ণনা, তাক্বদীরের প্রতি ঈমান আনা অপরিহার্য এবং যে ব্যক্তি তাক্বদীরে বিশ্বাস করে না, তার সাথে সম্পর্কহীনতা ঘোষণা’ অনুচ্ছেদ।)

আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনিল আস রাযিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, ‘আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, كَتَبَ اللَّهُ مَقَادِيرَ الْخَلاَئِقِ قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ بِخَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ -قَالَ- وَعَرْشُهُ عَلَى الْمَاءِ ‘আসমান-যমীন সৃষ্টির পঞ্চাশ হাজার বছর পূর্বে আল্লাহ সবকিছুর তাক্বদীর লিখে রেখেছেন। তিনি বলেন, আর তাঁর আরশ ছিল পানির উপরে’। (সহীহ মুসলিম, হা/২৬৫৩।)

★ গণকের নিকট গমন ও এর ভয়াবহ পরিণামঃ

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, কিছু লোক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে গণকদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, ‘‘ওরা অপদার্থ।’’ [অর্থাৎ ওদের কথার কোন মূল্য নেই]। তারা নিবেদন করল, ‘হে আল্লাহর রাসূল! ওরা তো কখনো কখনো আমাদেরকে কোন জিনিস সম্পর্কে বলে, আর তা সত্য ঘটে যায়।’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘এই সত্য কথাটি জ্বিন [ফিরিশ্তার নিকট থেকে] ছোঁ মেরে নিয়ে তার ভক্তের কানে পৌঁছে দেয়। তারপর সে ঐ [একটি সত্য] কথার সাথে একশ’টি মিথ্যা মিশিয়ে দেয়।’’ (বুখারী ও মুসলিম, রিয়াযুস স্বা-লিহীন, নিষিদ্ধ বিষয়াবলী (كتاب الأمور المنهي عنها) হাদিস নম্বরঃ ১৬৭৭)

বুখারীর অন্য এক বর্ণনায় আছে, যা আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন যে, ‘‘ফিরিশ্তাবর্গ আল্লাহর বিধানসমূহ নিয়ে মেঘমালার অভ্যন্তরে অবতরণ করেন এবং সে সব কথাবার্তা আলোচনা করেন, যার সিদ্ধান্ত আসমানে হয়েছে। সুতরাং শয়তান অতি সংগোপনে লুকিয়ে তা শুনে ফেলে এবং ভবিষ্যৎ-বক্তা গণকদের মনে প্রক্ষিপ্ত করে। তারপর তার সাথে তারা নিজেদের পক্ষ থেকে একশত মিথ্যা মিশ্রণ করে তা প্রচার করে।’’ (সহীহুল বুখারী ৩২১০, ৫৭৬২, ৬২১৩, ৭৫৬১, মুসলিম ২২২৮, আহমাদ ২৪০৪৯)

ইমাম নববী রাহিমাহুল্লাহ তার রিয়াযুস স্বা-লিহীন নামক গ্রন্থে অধ্যায় কায়েম করেছেন এইভাবে “গণক, জ্যোতিষী ইত্যাদি ভবিষ্যদ্বক্তার নিকট গমন নিষেধ।” অতঃপর বলেছেন-
النَّهْيِ عَنْ إِتْيَانِ الْكُهَّانِ وَالْمُنَجِّمِيْنَ وَالعَرَّافِ وَأَصْحَابِ الرَّمْلِ، وَالطَّوَارِقِ بِالْحَصٰى وَالشَّعِيْرِ وَنَحْوِ ذٰلِكَ
“যারা কাঁকর, যবদানা ইত্যাদি মেরে [ফালনামা খুলে বা হাত চালিয়ে বা হস্তরেখা পড়ে অথবা রাশি গণনা করে] ভাগ্য-ভবিষ্যৎ তথা অজানা ও গায়েবী বিষয়ের খবর বলে, তাদের নিকট এসে ঐ শ্রেণীর কিছু জিজ্ঞাসা করা বৈধ নয়।”

স্বাফিয়্যাহ বিন্তে আবূ উবাইদ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কোন স্ত্রী [হাফসাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা] হতে বর্ণনা করেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি গণকের নিকট এসে কোন [গায়বী] বিষয়ে প্রশ্ন করে, তার চল্লিশ দিনের নামায কবুল করা হয় না।’ (মুসলিম হা/২২৩০)

অন্য হাদীসে আছে, আর যে ব্যক্তি গণকের কথা বিশ্বাস করবে, সে কাফের হয়ে যাবে। (আহমাদ হা/১৬২০২, ২২৭১১, তিরমিযী, রিয়াযুস স্বা-লিহীন, হা/১৬৭৮)

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কোনো ব্যক্তি গণকের নিকট গেলে (বর্ণনাকারী মূসা তার হাদীসে বলেন) এবং তার কথা বিশ্বাস করলে অথবা স্ত্রীর সাথে (মুসাদ্দাদের বর্ণনায় রয়েছে) ঋতুবতী স্ত্রীর সাথে সহবাস করলে অথবা স্ত্রীর সাথে পশ্চাৎ দ্বারে সহবাস করলে সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে, সে তা থেকে দায়মুক্ত (অর্থাৎ ইসলামের গন্ডির বাইরে)। (আবু দাউদ, হা/৩৯০৪)।

ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি জ্যোতিষ বিদ্যার কিছু অংশ শিক্ষা করল, সে আসলে যাদু বিদ্যার একটি অংশ শিক্ষা করল। বিধায় জ্যোতিষ বিদ্যা যত বেশী পরিমাণে শিক্ষা করবে, অত বেশী পরিমাণে তার যাদু বিদ্যা বেড়ে যাবে।’’ (আবূ দাউদ ৩৯০৫, ইবনু মাজাহ ৩৭২৬, আহমাদ ২০০১, ২৮৩৬, রিয়াযুস স্বা-লিহীন, হা/১৬৮০)। অথচ যাদু বিদ্যাও হারাম তথা নিষিদ্ধ কর্মের অন্তর্ভুক্ত, দেখুন-

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, সাতটি ধ্বংসকারী বিষয় থেকে তোমরা বিরত থাকবে। সহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! সেগুলো কী? তিনি বললেন, (১) আল্লাহর সঙ্গে শরীক করা (২) যাদু (৩) আল্লাহ্ তা‘আলা যাকে হত্যা করা হারাম করেছেন, শরীয়ত সম্মত কারণ ব্যতিরেকে তাকে হত্যা করা (৪) সুদ খাওয়া (৫) ইয়াতীমের মাল গ্রাস করা (৬) রণক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যাওয়া এবং (৭) সরল স্বভাবা সতী-সাধ্বী মু’মিনাদের অপবাদ দেয়া। ( বুখারি হা/২৭৬৬, মুসলিম ১/৩৮ হা/ ৮৯)

পরিশেষে, তাক্বদীরের মৌলিক বিষয়গুলি উপলব্ধি করতে পারলে একজন মুমিনের ঈমান পরিপক্ক হবে, আল্লাহ সম্পর্কে তার ধারণা সুন্দর হবে এবং দুনিয়া ও আখেরাতে সে প্রভূত কল্যাণ অর্জন করতে পারবে। পক্ষান্তরে তাক্বদীরে বিশ্বাসের ক্ষেত্রে বিভ্রান্ত হলে উভয় জীবনে নেমে আসবে চরম হতাশা এবং মর্মন্তুদ শাস্তি। তাই আসুন, আজ এবং এখন হতেই এসকল বিষয়ে সচেতন হই, নিজ ঈমান ও আমলকে মজবুত করি। শয়তান ও তার দূসরের যাবতীয় চক্রান্ত হতে আল্লাহর কাছে পানাহ চাই।

আল্লাহ্ সুবহানাহু তা'আলা আমাদের সকলকে বিজাতীয় ষড়যন্ত্র হতে হেফাজত করে পরিপূর্ণভাবে দ্বীন পালনের তাওফিক্ব দান করুন। আমীন।

No comments

Theme images by konradlew. Powered by Blogger.