আল্লাহ তাআলার ইলম সকল সৃষ্টিকে পরিবেষ্টন করে রয়েছে

Image result for natural beauty hd picture


আল্লাহ তাআলার ইলম সকল সৃষ্টিকে পরিবেষ্টন করে রয়েছে


আল্লাহ তাআলা বলেন,

﴿يَعْلَمُ مَا يَلِجُ فِي الْأَرْضِ وَمَا يَخْرُجُ مِنْهَا وَمَا يَنزِلُ مِنْ السَّمَاءِ وَمَا يَعْرُجُ فِيهَا﴾
‘‘তিনি জানেন যা যমীনে প্রবেশ করে, যা তা হতে বের হয় এবং আকাশ হতে যা অবতীর্ন হয় ও যা কিছু আকাশে উঠে। (সূরা সাবাঃ ২) আল্লাহ তাআলা আরো বলেনঃ

﴿وَعِنْدَهُ مَفَاتِحُ الْغَيْبِ لَا يَعْلَمُهَا إِلَّا هُوَ وَيَعْلَمُ مَا فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ وَمَا تَسْقُطُ مِنْ وَرَقَةٍ إِلَّا يَعْلَمُهَا وَلَا حَبَّةٍ فِي ظُلُمَاتِ الْأَرْضِ وَلَا رَطْبٍ وَلَا يَابِسٍ إِلَّا فِي كِتَابٍ مُبِينٍ﴾
‘‘গায়েব বা অদৃশ্যের চাবিকাঠি তাঁরই নিকট রয়েছে। তিনি ছাড়া আর কেউ তা অবগত নয়, জলভাগের সবকিছুই তিনি অবগত রয়েছেন। তাঁর অবগতি ব্যতীত বৃক্ষ হতে একটি পাতাও ঝরেনা এবং ভূ-পৃষ্ঠের অন্ধকারে এমন একটি শস্য দানাও নেই, যে সম্পর্কে তিনি অবগত নন। এমনিভাবে শুষ্ক ও আদ্র সবকিছুই একটি সুস্পষ্ট কিতাবে লিপিবদ্ধ রয়েছে। (সূরা আন-আম: ৫৯)

ব্যাখ্যাঃ যমীনে যা প্রবেশ করে, তার অন্যতম হচ্ছে বৃষ্টির পানি, শস্যের দানাসমূহ, গুপ্ত ধনসমূহ, মৃত ব্যক্তিদের লাশ ইত্যাদি। আর যমীন হতে যা বের হয় তার মধ্যে রয়েছে, উদ্ভিদ, বিভিন্ন খনিজ সম্পদ ইত্যাদি। আসমান থেকে যা নাযিল হয় তার মধ্যে রয়েছে বৃষ্টি, ফেরেশতা, আল্লাহর হুকুম-আহকাম এবং অন্যান্য বিষয়। আর বনী আদমের আমল ও আল্লাহর ফেরেশতাগণ আকাশে উঠে।

উপরোক্ত আয়াতদ্বয়ে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার ইলম সাব্যস্ত করা হয়েছে। সব কিছুকেই তিনি জ্ঞানের মাধ্যমে পরিবেষ্টন করে আছেন।

وَعِنْدَهُ مَفَاتِحُ الْغَيْبِ ‘‘গায়েব বা অদৃশ্যের চাবিকাঠি তাঁরই নিকট রয়েছেঃ অর্থাৎ অদৃশ্যের ভান্ডারসমূহ অথবা গায়েব সম্পর্কে ইলম অর্জনের চাবিকাঠি একমাত্র আল্লাহর নিকটেই। তিনি ব্যতীত অন্য কেউ উহা জানেনা। সুতরাং যে ব্যক্তি ইলমে গায়েব থেকে কিছু জানার দাবী করল, সে কুফরী করল। বুখারী ও মুসলিমে আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীছে গায়েবের চাবিসমূহের ব্যাখ্যা করা হয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

مفاتحُ الْغَيْبِ خَمْسٌ لا يَعْلَمُهَا إِلا اللَّهُ ثم قرأى هذه الأية ﴿إِنَّ اللَّهَ عِنْدَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ وَيُنَزِّلُ الْغَيْثَ وَيَعْلَمُ مَا فِي الأَرْحَامِ وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ مَاذَا تَكْسِبُ غَدًا وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ بِأَيِّ أَرْضٍ تَمُوتُ﴾
‘‘গায়েবের চাবি হচ্ছে পাঁচটি। আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ তা জানেনা। কিয়ামতের জ্ঞান শুধু আল্লাহর নিকটেই রয়েছে। তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন। গর্ভাশয়ে যা থাকে, তা তিনিই জানেন।[1] কেউ জানেনা, সে আগামীকাল কী উপার্জন করবে এবং কেউ জানেনা, সে কোন্ যমীনে মৃত্যু বরণ করবে’’। (সূরা লুকমানঃ ৩৪)

স্থলভাগে যা আছে তিনি তা জানেন। অর্থাৎ পৃথিবীর বসতী এলাকায় এবং খালী জায়গায় যে সমস্ত বাসিন্দা, উদ্ভিদ, প্রাণী এবং অন্যান্য যেসব রয়েছে, তা তিনি অবগত আছেন। এমনি জলভাগে যেসব প্রাণী, মূল্যবান মনি-মুক্তা এবং অনুরূপ মাখলুক রয়েছে, তাও তিনি জানেন।

وَمَا تَسْقُطُ مِنْ وَرَقَةٍ إِلَّا يَعْلَمُهَا তাঁর অবগতি ব্যতীত বৃক্ষ হতে একটি পাতাও ঝরেনাঃ স্থলভাগ, জলভাগ এবং অন্যান্য স্থানের বৃক্ষসমূহের কোন পাতাই আল্লাহর অবগতি ছাড়া ঝরে পড়েনা। এমনি বৃক্ষের পাতাসমূহ কখন ও কোথায় পড়ে, তাও তিনি জানেন।

وَلَا حَبَّةٍ فِي ظُلُمَاتِ الْأَرْضِ ভূ-পৃষ্ঠের অন্ধকারে এমন একটি দানাও নেই, যে সম্পর্কে তিনি অবগত ননঃ অর্থাৎ যমীনের অন্ধকারচ্ছন্ন স্থানসমূহে কিংবা মাটির নীচের শস্যদানা বা ক্ষুদ্রতম দানা পরিমাণ বস্ত্ত সম্পর্কে তিনি অবগত।

وَلَا رَطْبٍ وَلَا يَابِسٍ إِلَّا فِي كِتَابٍ مُبِينٍ শুষ্ক ও আদ্র সবকিছুই একটি সুস্পষ্ট কিতাবে লিপিবদ্ধ আছেঃ অর্থাৎ সকল সৃষ্টি সম্পর্কেই তিনি অবগত। এটি خاص-এর পর عام স্বরূপ। অর্থাৎ প্রথমে কিছু খাস বস্ত্ত উল্লেখ করার পর বলা হয়েছে যে, শুষ্ক ও আদ্র সকল বস্ত্ত সম্পর্কেই তিনি জানেন। এগুলো থেকে যাই হোক না কেন, তার সবই লাওহে মাহফুযে লিখিত রয়েছে।

উপরোক্ত আয়াতে সাব্যস্ত করা হয়েছে গায়েবের ইলম আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কাছে নেই। আল্লাহ তাআলার ইলম প্রত্যেক বস্ত্তকে পরিবেষ্টন করে আছে। এতে তাকদীর এবং লাওহে মাহফুযে তা লিখার কথাও প্রমাণিত হয়।

আল্লাহ তাআলা আরো বলেন,

﴿وَاللَّهُ خَلَقَكُم مِّن تُرَابٍ ثُمَّ مِن نُّطْفَةٍ ثُمَّ جَعَلَكُمْ أَزْوَاجًا وَمَا تَحْمِلُ مِنْ أُنثَىٰ وَلَا تَضَعُ إِلَّا بِعِلْمِهِ ۚ وَمَا يُعَمَّرُ مِن مُّعَمَّرٍ وَلَا يُنقَصُ مِنْ عُمُرِهِ إِلَّا فِي كِتَابٍ ۚ إِنَّ ذَٰلِكَ عَلَى اللَّهِ يَسِيرٌ﴾
‘‘আল্লাহ তোমাদের সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে। তারপর শুক্র থেকে। এরপর তোমাদের জুটি বানিয়ে দিয়েছেন অর্থাৎ পুরুষ ও নারীর মধ্যে বন্ধন তৈরী করেছেন৷ কোন নারী গর্ভধারণ এবং সন্তান প্রসব করলে কেবল আল্লাহর জানা মতেই তা করে থাকে৷ কোন আয়ু লাভকারী আয়ু লাভ করলে এবং কারো আয়ু কিছু কম করা হলে তা অবশ্যই একটি কিতাবে লিখা আছে৷ আল্লাহর জন্য এসব খুবই সহজ’’।[2] (সূরা ফাতিরঃ ১১) আল্লাহ তাআলা সূরা তালাকের ১২ নং আয়াতে আরো বলেন,

﴿اللَّهُ الَّذِي خَلَقَ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ وَمِنَ الْأَرْضِ مِثْلَهُنَّ يَتَنَزَّلُ الْأَمْرُ بَيْنَهُنَّ لِتَعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ وَأَنَّ اللَّهَ قَدْ أَحَاطَ بِكُلِّ شَيْءٍ عِلْمًا﴾
‘‘আল্লাহ সেই সত্তা, যিনি সাত আসমান বানিয়েছেন এবং যমীনের শ্রেণী থেকেও ঐগুলোর অনুরূপ৷ ঐগুলোর মধ্যে হুকুম নাযিল হতে থাকে৷ এ কথা তোমাদের এ জন্য বলা হচ্ছে, যাতে তোমরা জানতে পারো, আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতা রাখেন এবং আল্লাহর জ্ঞান সব কিছুকে বেষ্টন করে আছে’’।

ব্যাখ্যা: অর্থাৎ আল্লাহর অবগতি ব্যতীত কোন নারী বা অন্য কোন প্রাণীর গর্ভধারণ এবং প্রসব হয়না। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, কোন জিনিষই আল্লাহর ইলম ও তদবীরের বাইরে নয়। কোন্ দিন কোন্ নারী বা অন্য কোন প্রাণীর গর্ভে সন্তান ও বাচ্চা আসবে, কোন্ দিন সে তা প্রসব করবে এবং ছেলে সন্তান প্রসব করবে? না মেয়ে সন্তান? আল্লাহু সুবহানাহু ওয়া তাআলা তাও জানেন।

لِتَعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ যাতে তোমরা জানতে পার যে, আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবানঃ এখানে لام এর সম্পর্ক হচ্ছে আল্লাহ তাআলার পূর্বোক্ত বাণীঃخَلَقَ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ وَمِنَ الْأَرْضِ مِثْلَهُنَّ এর সাথে। অর্থাৎ তিনি সাত আসমান ও সাত যমীন সৃষ্টি করেছেন যাতে তোমরা আল্লাহ তাআলার পূর্ণ ক্ষমতা সম্পর্কে জানতে পারো।

وَأَنَّ اللَّهَ قَدْ أَحَاطَ بِكُلِّ شَيْءٍ عِلْمًا এবং যাতে আরো জানতে পারো যে, আল্লাহর জ্ঞান সবকিছুকে বেষ্টন করে আছেঃ অর্থাৎ যাতে তোমরা এই কথা জানতে পারো যে, আল্লাহর ইলম সবকিছুকে ঘিরে আছে। সৃষ্টির কোন কিছুই তাঁর ইলমের বাইরে নয়। সেটি যাই হোক না কেন।

علمٌا শব্দটি تمييز হিসাবে অথবা مفعول مطلق হিসাবে মানসুব হয়েছে। কেননা أحاط অর্থ علم যার অর্থ তিনি অবগত হয়েছেন।

উপরের দু’টি আয়াত থেকে আল্লাহর এমন ইলম প্রমাণিত হচ্ছে, সকল বস্ত্তকে পরিবেষ্টন করে আছে। সেই সাথে সকল বস্ত্তর উপর আল্লাহর ক্ষমতাও প্রমাণিত হলো।

আল্লাহ তাআলা আরো বলেন,

﴿مَا أُرِيدُ مِنْهُم مِّن رِّزْقٍ وَمَا أُرِيدُ أَن يُطْعِمُونِ إِنَّ اللَّهَ هُوَ الرَّزَّاقُ ذُو الْقُوَّةِ الْمَتِينُ﴾
‘‘আমি তাদের কাছে কোন রিযিক চাই না কিংবা তারা আমাকে খাওয়াবে তাও চাইনা৷ আল্লাহ নিজেই রিযিকদাতা, শক্তিধর ও প্রবল ক্ষমতার অধিকারী’’। (সূরা যারিয়াতঃ ৫৭-৫৮)

ব্যাখ্যা: আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন রিযিক দাতা নেই। তিনি সকল সৃষ্টিকেই রিযিক দেন এবং তাদের কল্যাণে সবকিছুই সরবরাহ করেন। তিনি বিনা হিসাবে সকল প্রাণীর রিযিকের ব্যবস্থা করেন। সুতরাং তোমরা তাঁকে বাদ দিয়ে অন্যের এবাদত করোনা।

ذُو الْقُوَّةِ الْمَتِينُ প্রবল শক্তিধর ও পরাক্রমশালী: অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা পূর্ণ শক্তির অধিকারী। তাঁর শক্তিতে কোন প্রকার দুর্বলতা অনুপ্রবেশ করতে পারেনা। আর المتين অর্থ হচ্ছে তিনি সর্বোচ্চ শক্তি ও প্রবল ক্ষমতার অধিকারী। সুতরাং তাঁর কাজে কোন কষ্ট, ক্লান্তি এবং দুর্বলতা অনুভব হয়না। আল্লাহ তাআলার المتين নামটি المتانة ক্রিয়ামূল থেকে নেওয়া হয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে কঠিন ও শক্তিমান হওয়া।

উপরোক্ত আয়াতে কারীমা থেকে আল্লাহর রায্যাক নামটি প্রমাণিত হলো। সেই সাথে আল্লাহ তাআলার জন্য এমন সিফাত তথা পূর্ণ শক্তি ও ক্ষমতা প্রমাণিত হলো যাতে কোন প্রকার দুর্বলতা ও ক্লান্তি আসতে পারেনা। একই সাথে এই আয়াতগুলো দ্বারা দলীল গ্রহণ করা হয়েছে যে, একমাত্র আল্লাহর এবাদত করা আবশ্যক। তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই।

[1] - যদি প্রশ্ন করা হয় আজকাল ডাক্তারগণও তো বলে দিতে পারে মাতৃগর্ভে ছেলে সন্তান আছে? না মেয়ে সন্তান? উত্তর হল সন্তানের গঠন পূর্ণ হওয়ার পরই ডাক্তারগণ যন্ত্রের সাহায্যে তা বলতে পারে। গঠন পূর্ণ হওয়ার পূর্বে তা বলতে পারেনা। তাছাড়া ডাক্তারগণ শুধু ছেলে না মেয়ে এটি বলতে পারে। সন্তান সৌভাগ্যবান হবে না হতভাগ্য হবে? তার স্বভাব-চরিত্র ভাল হবে না মন্দ হবে? সে কি ধনী হবে না ফকীর হবে? এ সমস্ত বিষয় আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেনা। মেঘ দেখে আমরা বলতে পারি বৃষ্টি আসার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু বৃষ্টি হবেই, নিশ্চিতরূপে এ কথা কেউ বলতে পারেনা

[2] - অর্থাৎ যে ব্যক্তিই দুনিয়ায় জন্মলাভ করে তার সম্পর্কে প্রথমেই লিখে দেয়া হয় সে দুনিয়ায় কত বছর বাঁচবে। কেউ দীর্ঘায়ু হলে তা হয় আল্লাহর হুকুমে এবং স্বল্পায়ু হলেও হয় আল্লাহর ফয়সালা অনুযায়ী।


আমাদের সমাজের কতিপয় লোক বলে থাকে যে, পূর্বে নবজাত শিশুদের মৃত্যুর হার ছিল বেশী এবং বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতি এ মৃত্যুর হার কমিয়ে দিয়েছে। তাদের এই যুক্তি কেবল তখনই পেশ করা যেত যখন কোন উপায়ে আমরা জানতে পারতাম যে, আল্লাহ অমুক ব্যক্তির আয়ু লিখেছিলেন দু বছর এবং আমাদের চিকিৎসা উপকরণ তার বয়স ৫০ বছর বৃদ্ধি করে দিয়েছে। এ ধরনের কোন জ্ঞান যেহেতু কারো কাছে নেই, তাই সে কখনোই এই ধরণের কথা বলতে পারেনা। গণনার দিক দিয়ে শিশু মৃত্যুর হার এখন কমে গেছে অথবা আগের তুলনায় মানুষের গড় আয়ু এখন বেশী হচ্ছে, এটি একটি নিছক ধারণা মাত্র। সংখ্যা ও গণনা তথ্যের উপর ভিত্তি করে একথা বলা যায়না যে, মানুষ এবার আল্লাহর ফায়সালা বদলে দেবার শক্তি অর্জন করেছে। আল্লাহ বিভিন্ন যুগে জন্মলাভকারী মানুষের আয়ু বিভিন্নভাবে নির্ধারণ করেছেন। এটিও মহা পরাক্রমশালী আল্লাহর ফয়সালা যে, অমুক যুগে মানুষকে অমুক রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা দান করা হবে এবং অমুক যুগে মানুষকে জীবনী শক্তি বৃদ্ধির অমুক উপায় দান করা হবে। (আল্লাহই ভাল জানেন)

No comments

Theme images by konradlew. Powered by Blogger.